পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, রিপোর্ট তৈরি ও কিছু পরিকল্পনা

সরকারি হাসপাতালের রিপোর্ট তৈরির ব্যবস্থা নিয়ে অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখের নয় । রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটা বড় দিক হলো বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও তার রিপোর্ট তৈরি । রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য খাতে অনেক টাকা খরচ করলেও সঠিক পরিকল্পনা ও তার তদারকির অভাবে অনেক প্রচেষ্টাই বিফল হয় । রিপোর্ট যেগুলো করতে দেওয়া হয়, সেটা ইন্ডোর বা আউট ডোর যায় হোক না কেন যাতে

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত ও কার্যকর করার জন্য এটি এমন একটি পরিকল্পনা যাতে ম্যানুয়াল ও সফটওয়্যার এর ইন্ট্রীগেশান থাকবে ।  প্রতিটি ধাপ নির্দিষ্টভাবে সাজানো ও সিম্পল হবে , যাতে রোগী এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ সহজেই প্রয়োজনীয় রিপোর্ট এবং তথ্য এক ছাতার তলায় পেতে পারে ।

পুরো সিস্টেম এর মাথায় থাকবে একটা কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার । প্রয়োজনে এখন ব্যবহার করা সফটওয়্যারে Requirements অনুযায়ী আপগ্রেড করতে হবে


ধাপ ১: বিভিন্ন Department গুলো থেকে  রক্ত পরীক্ষা, রেডিও পরীক্ষা ( এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইউএসজি,) ইসিজি, এন্ডোস্কোপি,  ইকো, এবং ইউরোলজিক্যাল ও নিউরোলজিক্যাল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা গুলো সেটা OPD বা IPD যায় হোক না কেন পেন পেপারে যেমন এখন Requisition তৈরি হয় সেই ভাবেই তৈরি হবে

ধাপ ২: প্রতিটি বিভাগ থেকে Sample Collection, Voucher তৈরি Manually যেভাবে হয়ে আসছে হবে । রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা গুলোর ভাউচার যেমন তৈরি হয় হবে, শুধু সেটা তৈরির সময়েই কেন্দ্রীয় সফটওয়্যারে  Request আপডেট হয়ে যাবে Patient এর  নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন নম্বরে আর একই ভাবে রক্ত বা অন্যান্য যেগুলো নন Voucher এ হয় অর্থ্যাৎ রক্ত পরীক্ষা, স্টুল বা ইউরিন পরীক্ষা, কালচার বা Sensitivity পরীক্ষা, Pathological Specimen পরীক্ষা ইত্যাদি যেগুলো ল্যাবে Outdoor Patient বা ওয়ার্ড থেকে গ্রুপ ডি কর্মীরা জমা দিয়ে আসে, সেটা ল্যাব পৌঁছানোর পর Manually  Request আপডেট করা হবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সফটওয়্যারে । এক্ষেত্রে Request তৈরীর অর্থ হলো যে সেটা ল্যাব এ জমা পড়ে গেছে সেটা কনফার্ম হয়ে সফটওয়্যারে আপডেট

ধাপ ৩: প্রতিটি বিভাগের রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার পর পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে এবং রিপোর্ট তৈরি করা হবে।   প্রতিটি রিপোর্ট সময়মতো প্রস্তুত করা হবে, কারণ Voucher তৈরির সময় সফটওয়ার রোগী ও বিভাগীয় প্রধানের কাছে নোটিফিকেশান পৌঁছে দেবে যে এই সময়ে এই পরীক্ষার Request Generate হয়েছে ।  এর ফলে অনর্থক দেরি আটকানো অনেকটাই Possible হবে

ধাপ ৪: প্রতিটা রিপোর্ট বা প্লেট তৈরি হয়ে যাবার সাথে সাথে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপডেট হয়ে যাবে প্রতিটা রোগীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী।

ধাপ ৫: রিপোর্ট পাঠানো  হচ্ছে এর শেষ ধাপ। তৈরি হওয়া রিপোর্ট গুলো দুটি জায়গায় পাঠানো হবে

1. রোগীর কাছে:
রোগী তার ব্যক্তিগত ইমেল বা Whatsapp মাধ্যমে রিপোর্ট পেয়ে যাবে তৈরি হবার পরেই

2. বিভাগীয় VS/VP:
প্রতিটি বিভাগের ইউনিট প্রধানের কাছে রিপোর্ট এর একটা কপি পাঠানো হবে

সার্ভারে রিপোর্ট সংরক্ষণ করা হবে একটি নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত এবং এটির একটি ডাউনলোডেবেল কপি Patient পার্টি কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।

এই পরিকল্পনার উপকারিতা : 

✅ রোগী পরিজন এবং বিভাগীয় চিকিৎসক উভয়ের জন্য রিপোর্ট পাওয়া দ্রুত এবং সহজ হবে ।

✅ কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে তথ্য সুরক্ষিত এবং অ্যাক্সেসযোগ্য থাকবে, রিপোর্ট Demography পাওয়া যাবে ।

✅ সময় এর অনেক সাশ্রয় হবে ।

✅ Patient Outdoor এ একাধিক ডিপার্টমেন্টে দেখিয়ে একই রিপোর্ট বারবার করার প্রয়োজন থাকবে না, সার্ভার Existing রিপোর্ট Request থাকলে সেম রিপোর্ট Request নতুন নেবে না , সাথে সাথে দিনে অকারণে একাধিকবার রিপোর্ট করতে পাঠানো বন্ধ হবে, Unnecessary ব্লাড বা রেডিও রিপোর্ট Work লোড কমবে

✅ Request Generated হবার পর না হলে সেই ডিপার্টমেন্ট কে সরকার জবাবদিহি করতে পারবে বা প্রয়োজনের বেশি কোনো টেস্ট এর Requisition পাওয়া গেলে VP/VS কে কারণ জানাতে বলা যাবে

✅ স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত এবং রোগীর জন্য সুবিধাজনক হবে ।  রিপোর্ট পাবার জন্য হয়রানি কম হবে ।

✅ Surgical Departments গুলোতে সময়ে রিপোর্ট না আসার জন্য Anesthesia ক্লিয়ার না হবার ও সরকারি হাসপাতালে Patient Stay কমবে । এতে বেড Availability বাড়বে ।

✅ এতে Workload কমবে । IT Integration হলে বাংলায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক আপগ্রেডেশান হবে, Brilliant মাইন্ড কিছু  Bangalore না গিয়ে West বেঙ্গলেই থাকবে ।

এই পরিকল্পনা কার্যকরী হলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও আধুনিক এবং রোগী-কেন্দ্রিক হয়ে উঠবে বলেই আমি মনে করি । সাথে সাথে ইন্টার্ন ডাক্তারদের unnecessary ব্লাড ওয়ার্ক কমবে । Unnecessary রিপোর্ট করানো কমবে। সর্বোপরি সরকারের অনেক ব্যয় বাঁচবে।