IIT Kharagpur ও কিছু গল্প

ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখলে দেখা যায় বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানির CEO পদে যারা বসে আছেন তারা কোনো না কোনো একটা IIT এর পাশ আউট

আজকের এই যে আমাদের ফ্লেক্স করতে পারা তার ইতিহাস জানতে গেলে অনেক পিছিয়ে যেতে হবে ইতিহাসের টাইমলাইনে

শূন্য থেকে কোনও জিনিস শুরু করা কতো কঠিন আর কঠোর সেটা, যারা শূন্য থেকে শুরু করেছে তারাই জানে

সালটা 1956, স্থান খড়গপুর IIT র প্রথম কনভোকেশান পণ্ডিত নেহেরু তার ভাষণে কি বললেন সেখানে ?

” Here, in the place of that Hijli Detention Camp stands  the finest monument of India, representing India’s urges, India’s future in the making. This picture seems to me symbolic of the changes that are coming to India

সহজ বাংলা করলে দাঁড়ায় – ‘ এখানে, একসময়ের হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্পের সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের এক চমৎকার স্মৃতিস্তম্ভ । এমন এক স্মৃতি স্তম্ভ যা ভারতের তাগিদ, ভারতের আগামী দিনের উজ্জ্বল অনাগত ভবিষ্যৎের প্রতিনিধিত্ব করে । আজকের এই ছবিটি আমার কাছে ভারতে আগামীতে যে পরিবর্তন আসতে চলেছে তার প্রতীক বলে মনে হচ্ছে। “

কল্পনা করছি ভারতের ইতিহাসের সেই সাদা কালো  দিন গুলোকে, গায়ের রোমে শিহরন লাগে… 76+ বছর আগে এত দূরদর্শিতা !

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ হল ইংরেজ দের থেকে , এখন ভারতের ক্রমবর্ধমান শিল্প ও অর্থনৈতিক বিকাশকে সহযোগিতা করার জন্য উন্নত প্রযুক্তিগত শিক্ষাদান জরুরি হয়ে পড়ে ।

এই বিষয়টিকে উপলব্ধি করে, তৎকালীন সরকার, বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পপতি ও শিক্ষাবিদ,  ড. নলিনী রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে ,ভারতের আগামী দিনের প্রযুক্তিগত শিক্ষা কোন পথে চলবে তার রুপরেখা ও প্ল্যান তৈরি করার জন্য

কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে, ১৯৫১ সালে ভারতের প্রথম IIT প্রতিষ্ঠান , IIT খড়গপুর প্রতিষ্ঠা করা হয় । এরপরে সারা ভারতে অন্যান্য আইআইটি প্রতিষ্ঠিত হয়..

এই কমিটির সুপারিশ ভারতের শক্তিশালী প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে দেশের শিল্প ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে । কি কিউট একটা জিনিস

Scroll to Top